আল্লাহ তায়ালার দয়া অনুসারে পৃথিবীতে বসবাসকারী সমস্ত সম্প্রদায়কেই সর্তক করে দেয়া হয়েছিলো। আল্লাহতালার অস্হিত্ব এবং তার ক্ষমতা জানানোর জন্য তার পক্ষ থেকে প্রত্যেক জাতির জন্য একজন দূত প্রেরন করা হয়েছে এবং তারা সবাই সৃষ্টির প্রমান দেখিয়েছেন আল্লাহর আইনের একটি অংশ হিসেবে । প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবিশ্বাসীর দল ছিলো যারা সর্বশক্তি দিয়ে প্রেরিত নবী এবং দূতদের বিরোধিতা করত এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর অস্হিত্বকে অস্বীকার করত। সর্বশক্তিমান আল্লাহ এ ধরনের কিছু সম্প্রদায়ের কথা আমাদের কে পবিত্র কুরআন মজীদে বলেছেন। কুরআন মজীদে বর্নিত অভিজাত সম্প্রদায় যারা সমাজে আল্লাহকে অস্বীকার করেছিলো যাদের কে ধর্মোপদেশ দেয়া হয়েছিলো তাদের প্রত্যেকেই সমাজে পৃথক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিল । নবী সালিহ (আলাইহিস সালাম) এর সমাজের অবিশ্বাসীরা, তামুদ জাতি, এরা ছিল আত্ন-কেন্দ্রিক প্রতারক যারা ওজন এবং মাপে কম দিত। হজরত লুত (আ:) এর সমাজের অবিশ্বাসীরা নিলর্জ্জভাবে বিকৃত যৌনাচার এবং সমকামীতাকে প্রশয় দিয়েছিলো। যখন মুসা (আ:) এর ধর্মপ্রচারের বক্তব্য ফেরাউনের কাছে পৌছল তখন ফেরাউন এবং তার অনুসারীরা নিজেদের সামাজিক এবং শক্তিশালী সামরিক অবস্হানের জন্য একগুয়েমি ও মহাক্ষমতার ভাব থাকায় মুসা (আ:) কে অস্বীকার করে। স্বগোত্রীয় মূর্তিপুজকরা নবী ইব্রাহিম(আ:) এর আহবান না শুনে , অস্বীকার করে তাকে জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডের মধ্যে নিক্ষেপ করেছিলো ।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ সকল নবীদের কে এমনই সব বাধা-বিপত্তির মোকাবিলা করিয়ে এনেছিলেন যা দুনিয়াতে তাদের পরীক্ষার অংশ ছিলো । অনেক নবী একতরফা বিচার পেয়েছেন, অন্যায়ভাবে নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিলো, গ্রেফতার এমনকি শহীদ পর্যন্ত করা হয়েছিলো । কিন্তু নবীগন এবং সত্যিকারের ঈমানদারগণেরা আল্লাহর দৃষ্টিতে উচ্চাসনে অধিষষ্ঠিত ছিলেন। যারা নবীগণের জন্য বোকামীসুলভ ফাঁদ পেতেছিলো তাদেরকে সবসময়ই এ জগতে এবং পরকালে এক ভয়ংকর শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে।
এটা সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুমোদিত, বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের মধ্যে এই বিশাল মেধাগত প্রতিযোগিতা চলবেই এবং টিকে থাকবে শেষ বিচার দিবসের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ তালার পরীক্ষার অংশ হিসেবে। কিন্তু আল্লাহ পাক সময়কে সৃষ্টি করেছেন শেষ বিচার দিবস পর্যন্ত পৌছতে, শেষ সময় অন্য অর্থে অন্য সকল সময়ের চাইতে ব্যতিক্রম হবে । পবিত্র কুরআনুল কারীমে এবং বিশ্বস্ত হাদীস শরীফে বর্নিত হয়েছে এই সময়টা হবে দুনিয়ায় ইতিহাসে অত্যন্ত বিপথগামীতার যুগ যখন অবিশ্বাসীরা চরমে পৌছবে যা পূর্বে কোনদিন দেখা যায়নি ,যখন আল্লাহ পাককে খোলাখুলি অস্বীকার এবং যখন উচ্ছৃংখলতা, ন্যায়ভ্রষ্টতা এবং সকলধরনের পাপ সর্ব্বোচ্চে পর্যায়ে যাবে।এসময় বিশ্বাসীদের সংখ্যা কমে যাবে এবং আমাদের সর্বশক্তিমান আল্লাহর বিরুদ্ধে অবিশ্বাসীদের চিত্তহীন, অজ্ঞান, মূর্খ বিদ্রোহ চলতেই থাকবে যতদিন না হযরত মাহদী (আলাইহিস সালাম) এবং হযরত
ঈসা (আলাইহিস সালাম) যৌথভাবে ইসলামী নৈতিক মূল্যবোধ পৃথীবিতে প্রতিষ্ঠিত করে বিজয় আনয়ন করেন। এই বিদ্রোহ , বিপথগমণ, এবং বাড়াবাড়ি এত সুবিস্তৃত, ব্যপক এবং নির্লজ্জ হবে যাতে জোরেসোরে আল্লাহকে অস্বীকার এবং সকল ধরনের পাপকে সাধারন ব্যপার বলে বিবেচনা করা হবে।
সর্বশক্তিমান আল্লাহপাক সুসংবাদ দিয়েছেন যে, হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) এবং হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) এই মহা দু:সময়ে পথপ্রর্দশক হিসেবে আর্বিভূত হবেন । অত:পর, শেষ যুগে , যখন দৃশ্যত বিস্তৃত বিশ্বব্যাপী নৈতিক অবক্ষয় , সকল দুর্বৃত্তি, বিকৃতি একযোগে প্রবলভাবে এবং একই সময় সচেতনভাবেই ঐসব একটি জীবন পদ্ধতি হিসেবে গৃহিত হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) , হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) কে পাঠাবেন যারা এসব বিশ্বব্যপী পাপ এবং বাড়াবাড়িকে দুর করে বশে বানবেন । শেষ যুগের এই দুই পবিত্র মহিমাময় ব্যক্তি , আল্লাহর দয়ায় জগতের সকল ভ্রান্ত পদ্ধতি এবং ধারনা মহান আল্লাহর মহিমান্বিত ধর্মের যন্ত্রতুল্য হয়ে দুনিয়াতে প্রভাব বিস্তার করবেন , সফল হবেন ।
আমাদের প্রতিপালক একটি আয়াতে বলেছেন কিভাবে পৃথিবীতে হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) ফিরে আসবেন যখন একজন মানুষ ও তার প্রতি অবিশ্বাসী থাকবে না :
“আর আহলে কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেনী রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ঈসার উপর তাদের মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের দিন তাদের জন্য সাক্ষীর উপর সাক্ষী উপস্হিত হবে ।“ (সুরা-নিসা,আয়াত -১৫৯)।
ঐ সময়ের পূর্ব পর্যন্ত, সর্বশক্তিমান আল্লাহ হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) কে অধিকন্ত কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করাবেন । হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) এর সংগ্রামের ক্ষেত্রটি অতীতের অন্য নবীগণের চাইতে ভিন্ন হবে । হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) কে প্রেরন করা হবে সমগ্র বিশ্বের জন্য একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবে কেবল মাত্র একটি সম্প্রদায় বা জাতির জন্য নয় । তার সময়ে, পৃথিবী হবে অধিক গোলযোগপূর্ন এবং অতীতের চাইতে অধিক অধ:পতিত। এইসব বাধা-বিপত্তি যা পূর্বতন নবীগণের ক্ষেত্রে ঘটেছে হযরত মাহদী (আলাইহিস সালাম) এর সময় সবগুলো একত্রে ঘটবে।
হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) একটি মেধাপূর্ন সংগ্রাম চালাবেন যা কেবলমাত্র একটি সমাজের বিকৃতবুদ্ধি সম্পন্নদের জন্য নয় বরঞ্চ সমগ্র জ্ঞানগর্ভ অসামন্জস্য , অধ:পতন, পাপ এবং অবিশ্বাস । তার সময়টা হবে এমন এক সময় যখন বিশাল সংখ্যক মানুষ যারা ন্যায়ভ্রষ্টতাকে জীবন পথের অবলম্বন হিসেবে মেনে নিবে এমনকি একমাত্র জ্ঞানতত্ত্ব হবে কিভাবে সামরিক, মেধা এবং বস্তুগত মাধ্যম ব্যবহার করে হযরত মাহদী (আলাইহিস সালাম) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায় । এই কঠিন অবস্হার আবহ বিশেষভাবে সৃষ্টি হবে শুধুমাত্র শেষ যুগের এই পবিত্র আত্নাদ্বয়ের জন্য।
শেষযুগেরভয়ংকরনৈতিকপতনেরউৎসইহচ্ছেবির্বতনবাদবাডারউইনইজম।
আমরা যে সময় বাস করছি তা , বিশদভাবে,সম্পূর্নরুপে আমাদের মহানবী(সা:) এর হাদীসে বর্নিত শেষ যুগের সাথে মিলে যায় । আমাদের সময়ের রুঢ় অবস্হাদৃষ্টে সহজেই অনুমেয় বর্তমান সময়ের চাইতে শেষ যুগের পরীক্ষার আবহের ধরন আরো কত ব্যপক এবং তীব্র হবে। এই সময়টা এমন হবে যখন অধিকাংশ মানুষই সম্পূর্ন রুপে নৈতিক গুনাবলীসমুহ যেমন, পরোপকার, সততা, সত্যবাদিতা, ক্ষমা, বিচার, অন্যের দু:খে/শোকে সমব্যথী হওয়া এবং সম্মান করা এসব ছেড়ে দিবে। আমরা বর্তমানে যে সময়ে বাস করছি আক্ষরিক অর্থে মানুষ এখন সময়ের সুযোগসন্ধানী, নির্মমতা বেদনাবোধহীনতাকে জীবনের পথপ্রর্দশক রুপে গ্রহন করেছে। তারা নিজেরা মিথ্যাই বিশ্বাস করে নিয়েছে যে চতুরতা এবং নির্দয়তা ছাড়া টিকে থাকা যাবে না এবং অন্যদের কে ও এটা মেনে নিতে বুঝাচ্ছে ।
অবশ্যই বির্বতনবাদে জীবনের অনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । বির্বতনবাদে একটি বিশ্বাস যা প্রাচীন মিশরীয় এবং সুমেরুয়ীদের মধ্যে সর্বপ্রথম উদ্ভব হয়েছিলো । নবী মুসা (আলাইহিস সালাম) এর বিরুদ্ধে ফেরাউনের নির্বোধ যুদ্ধ তার মনে সুপ্ত বির্বতনবাদী চিন্তা-চেতনার ফসল ছিলো । ফেরাউন দৃঢ়ভাবে দাবী করেছিলো জীবনের সূচনা আপনা আপনি স্ভাভাবিক ভাবেই নীলনদের কাদা থেকে শুরু হয়েছে এবং সে একমাত্র বস্তুবাদে বিশ্বাস করত আর তাতেই নিজেকে সর্বময় ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের অধিকারী ভাবত। উত্তরাধিকারী সুত্রে প্রাপ্ত ভ্রান্ত বিশ্বাসই ফেরাউনকে ঐ সময়ের চরম অবিশ্বাসী হিসেবে তৈরী করেছিলো এবং সে সারা জীবন নবী মুসা (আলাইহিস সালাম) এর বিরোধীতা এবং তার জীবনের প্রতি হুমকি স্বরুপ ছিল। কিন্তু তার মৃত্যুর সময় , শেষ পর্যন্ত যখন সে মহান আল্লাহ তালার অসীম ক্ষমতা বুঝতে পারল, সে বলেছিলো “ আমি বিশ্বাস করি “ আমাদের প্রতিপালক নিম্নের আয়াতে এভাবে বলেন :
“আর বনি-ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি সাগর। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও তার সৈন্য বাহিনী, দুরাচার এবং ক্রমাগত বাড়াবাড়ির উদ্দেশ্যে। এমন কি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, কোন মা’বুদ নেই তাঁকে ছাড়া যাঁর উপর ঈমান এনেছে বনি-ইসরাঈলরা । বস্তুত আমি ও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।
এখন, এ কথা বলছ ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানি করেছিলে । এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নির্দশন হতে পারে। আর নি:সন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না ।“ (সুরা ইউনুস, আয়াত -৯০-৯২)
মৃত্যু সময় ফেরাউন ভেবেছিলো যে “ বিশ্বাস এনেছি” এ কথা বলে মুক্তি অর্জন করতে পারবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তার দেহ কে বস্তুগতভাবে রক্ষা করেছেন । যা সে বিশ্বাস করত বস্তুবাদীতায় অন্য কথায় তার শারীরিক দেহ । ফেরাউন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব অনুভবের কারনে এবং নিজেকে মিথ্যা প্রভু হিসেবে চালানোর সুযোগ নিয়েছিলো ফলত সে মহান আল্লাহর মহিমান্বিত সত্ত্বার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ এবং আল্লাহর অসীম অস্হিত্বকে যথাযথ ভাবে স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছিলো। এবং তার নিজ বিশ্বাসের সাথে একাত্বতা বজায় রেখে তার দেহকে একটি বস্তুতে পরিনত করে সংরক্ষন করা হয়েছে পরর্বতী মানষের জন্য সাবধানতা স্বরুপ। এটা আল্লাহ তালার আরো একটি মহা অলৌকিক নির্দশন। বির্বতনবাদ, যাতে ফেরাউন বিশ্বাস করত এবং অস্হিত্বের জন্য একমাত্র শক্তি হিসেবে গন্য করত। জীবনযাত্রার জন্য একমাত্র অস্হিত্ববাদকেই শক্তি হিসেবে মানত, আজ তা সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে চরম যন্ত্রনার কারন হয়ে জগতকে শাসন করে চলেছে। পৃথিবীর বহুদেশের হাজারো মানুষ শৈশব থেকেই এটা শিক্ষা পেয়ে আসছে যে, সমস্ত প্রানী কূল দৈবাৎ সৃষ্টি হয়েছে। তারা যেখানেই যাক না কেন “ফ্যামিলি ট্রি” নামক একটি ভ্রান্ত বিশ্বাস যাতে বানর ধীরে ধীরে মানুষে রুপ নিয়েছে এরুপ একটি মিথ্যা ধারনা নিয়েই বেড়ে উঠে। এবং সর্বদা টেলিভিসনে, স্কুলে, পেপার-পত্রিকায় , সিনেমায়, কার্টুনে এবং বিজ্ঞাপন সমুহে এই মতবাদ শেখানো হচ্ছে।
দেশের প্রচলিত আইনে বির্বতনবাদের বিরোধিতা করা নিষিদ্ধ। যদি কেউ ডারউইনের মতবাদ অস্বীকার করে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়, সমস্ত অর্থনৈতিক সম্পদ হারায়, তাকে সমাজ থেকে বের করে দেয়া হয় এবং শীঘ্রই সে তার চতুর্পাশের লোকজন, সামাজিক মর্যাদা, এমনকি সেই সব লোকজনকে হারায় যাদের কে সে বন্ধু ভেবে আসছিল । এতেই দেখা যায় ডারউইনবাদী মিথ্যা স্বৈরতন্ত্র কত বিস্ময়কর ভাবে সমগ্র পৃথিবীকে গ্রাস করে নিয়েছে ।
এই মিথ্যা আগ্রাসনই হচ্ছে শেষ যুগের সকল ধ্বংসের উৎস । এ কারনেই ইসলামী বিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব বদিউজ্জামান সাইয়েদ নুরসী বলেছেন :
হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) এর প্রথম কথাই হবে শঠতাপূর্ন পরিকণ্পনা, ডারউইনবাদ এবং বস্তুবাদ দুর করা।
এবং তিনি হযরত মাহদী ( আলাইহিস সালাম) এর ৩ টি প্রধান দায়িত্ব থাকবে, প্রথমত , ঈমান কে রক্ষা করা এমন ভাবে যাতে বস্তুবাদী দর্শন / ধ্যান-ধারনা যা মানুষের মাঝে বিজ্ঞান এবং দর্শনের প্রভাবে বির্বতনবাদ, বস্তুবাদ এবং নাষ্তিকতার দ্বারা মানুষের জন্য চরম যন্ত্রনার কারন হয়েছে । বিশ্বাসদের কে ভ্রান্ত মতার্দশ থেকে রক্ষা করা । ( এমিরদাগ আদেনদাম, পৃষ্ঠা-২৫৯)
শেষ যুগে, বির্বতনবাদী স্বৈরতন্ত্রের প্রচন্ড চাপে অধিকাংশ মানুষই ভয়ানক নৈতিক অধপতনে নিমজ্জিত হবে । এই সময়ে , হত্যা, যুদ্ধ, ধর্ম বা জাতিগত কারনে অত্যাচার, চরমপন্হিতা এবং অনৈতিকতা আইনানুগ স্বীকৃতি পাবে এবং অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, ইহার সর্ম্পূন নীতিগত ভিত্তিই এসেছে বির্বতনবাদ হতে। যখনই মানুষ ভেবেছে এবং ধরেই নিয়েছে যে অন্য সে প্রানী থেকে এসেছে এবং অন্ধের মত বির্বতনবাদের মূলসূত্র অনুসারে বিশ্বাস করেছে যে “ সবল দূর্বলকে চুর্ণ করে ফেলে” তখনই সমাজ জীবনে তারা এটা কে প্রয়োগ করতে কালক্ষেপন করেনি । পরিশেষে বলা যায় , বির্বতনবাদই হচ্ছে আজকের চরম নির্দয়তা, বিশ্বাস ঘাতকতা, সুযোগসন্ধানী আচরন, স্বার্থপরতা, নিরাপত্তাহীনতা, মনুষ্যত্বের অভাব, ঘৃনা এবং শত্রুতা। এগুলো আরো সবিস্তারে পরর্বতী অনুচ্ছেদে বর্নিত হয়েছে যা শেষ যুগের নৈতিক অবক্ষয় সর্ম্পকে বিশদ আলোচনায়।